সেরা ২২ টি আর্টিকেল লেখার নিয়ম | বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম

আপনি কি বাংলা আর্টিকেল লিখতে আগ্রহী? কিন্তু কিভাবে লিখবেন বুঝতে পারছেন না, বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার জন্যই। বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং কেবল একটি লেখা নয়, বরং এটি পাঠকের মন জয় করার একটি শিল্প। আমাদের এই সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লে আপনি এই শিল্পটি নিজের মধ্যে ধারণ করার জন্য বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয়।

বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম


বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লেখার কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে যা আপনাকে সঠিকভাবে আপনার মনের ভাব প্রকাশ করতে সাহায্য করবে। আপনার লেখা কিভাবে পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে এবং কিভাবে আপনি আপনার ভাবনা গুছিয়ে উপস্থাপন করবেন, তা জানার জন্য এই আর্টিকেলটি পড়ুন।

আমরা জানি, আপনি আপনার লেখায় প্রভাব বিস্তার করতে চান এবং পাঠকদের হৃদয়ে ছোঁয়া দিতে চান। সঠিক নিয়ম মেনে চললে আপনার আর্টিকেল হবে আরও আকর্ষণীয় এবং পাঠযোগ্য। তাই, চলুন শুরু করি এবং জানি কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়মগুলি আপনাকে আর্টিকেল লিখতে সাহায্য করতে পারে।


পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম


বাংলা আর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটিং কি?

বাংলা আর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটিং বলতে এমন একটি বিষয় বা মাধ্যম কে বোঝায় যার মাধ্যমে সহজ ও সাবলীল ভাষায় বিভিন্ন বিষয়বস্তু উপস্থাপনের মাধ্যমে পাঠকদের নির্ভরযোগ্য ও সঠিক তথ্য প্রদান করা হয়। এটি ব্লগ, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ পোর্টাল, পণ্য রিভিউ, টিউটোরিয়াল, বা যেকোনো অনলাইন ও অফলাইন মাধ্যমে ব্যবহারের জন্য করা হয়ে থাকে। আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনি বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করতে পারবেন।


আর্টিকেল লেখার প্রথম ধাপ কি?

আর্টিকেল লেখার প্রথম ধাপ হলো বিষয় নির্বাচন এবং গবেষণা করা। বিষয়টি আকর্ষণীয় ও পাঠকের জন্য প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত। এরপর কাঠামো তৈরি করে লেখার পরিকল্পনা করুন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মূল পয়েন্টগুলি সাজান, যাতে লেখা সুসংগঠিত হয়।


ভূমিকা বা ভূমিকা অংশ

প্রথম অনুচ্ছেদে বিষয়টি সংক্ষেপে পরিচয় করিয়ে দিন এবং পাঠককে কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ তা জানান। এই অংশটি এমনভাবে লিখুন যাতে পাঠক পুরো লেখা পড়তে আগ্রহী হয়।


সঠিক বিষয়বস্তু নির্বাচন

বাংলা আর্টিকেল লিখার সময় সঠিক বিষয়বস্তু নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখার পাশাপাশি তথ্য প্রদান নিশ্চিত করে। বিষয়টি এমন হতে হবে যা পাঠকের আগ্রহের সঙ্গে মিলে যায়। একটি আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু আপনার আর্টিকেলকে অনন্য করে তুলতে পারে। তাই বিষয়বস্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে পাঠক ঠিক কি জানতে চাই আপনাকে সেই দিকে ফোকাস করতে হবে।


ফিচার ইমেজ যুক্ত করা

যে ইমেজ আর্টিকেলর মুল বিষয়বস্তকে হাইলাইট করে তাকে ফিচার ইমেজ বলে। ফিচার ইমেজ এমন হওয়া উচিৎ যা দেখে পাঠক সহজেই পুরো আর্টিকেলর মূলভাব বুঝতে পারে। ফিচার ইমেজ ভূমিকা অংশের পরে বসাতে হবে। প্রথম ৪-৫ লাইন ভূমিকা লিখে ফিচার ইমেজ যুক্ত করতে হবে, তারপর ভূমিকার বাকি অংশ লিখতে হবে। ফিচার ইমেজ আর্টিকেলর বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।


পেজ সূচিপত্র লেখার নিয়ম

কোনো আর্টিকেলের শুরুতে সূচিপত্র থাকলে সহজেই বোঝা যায় যে, সে আর্টিকেলে কি কি বিষয়বস্তু সম্পর্কে লিখা আছে। যারফলে পাঠক পুরো আর্টিকেলের মধ্যে থেকে তার কাঙ্ক্ষিত বিষয়বস্তুটি পোস্ট সূচিপত্রের মাধ্যমে খুব সহজেই খুঁজে পড়তে পারে। পোস্ট সূচিপত্রে বর্ণিত উক্ত বিষয়বস্তুর ওপর ক্লিক করলে আপনি সরাসরি সেই বিষয়বস্তুর ওপর চলে যাবেন এবং সেটি পড়তে পারবেন। সকল ধরনের হেডিং, ফোকাস কিওয়ার্ড পোস্ট সূচিপত্রের আন্ডারে রাখতে হবে।


সঠিক বিষয় বা ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন

যে কিওয়ার্ড একটি আর্টিকেলের সারমর্ম নির্দেশ করে, তাকে ফোকাস কিওয়ার্ড বলে। একটি আদর্শ ফোকাস কিওয়ার্ডের জন্য আমাদের ব্লগটি গুগল তার সার্চ ইঞ্জিনে প্রথম দিকে র‍্যাংক করাবে। ব্লগ পোস্টে ভালো ভিউ এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিনে প্রথম পেজে র‍্যাংক করানোর জন্য ফোকাস কিওয়ার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনি যদি ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লিখতে চান, তাহলে আপনার অবশ্যই আর্টিকেলের ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম


বাংলা ভাষার গুরুত্ব

মনের ভাব প্রকাশের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো ভাষা, বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ৭০০০-এর বেশি ভাষা প্রচলিত আছে। তার মধ্যে বাংলা একটি ভাষা। ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলা পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ মাতৃভাষা। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা, তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম।

আপনি যেহেতু আর্টিকেল লেখার জন্য ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে নির্বাচন করেছেন সেহেতু বাংলা ভাষার ব্যবহার সম্পর্কে আপনার সঠিক জ্ঞান বা ধারণা থাকতে হবে। আর্টিকেল লিখতে হলে সঠিক বানান, ব্যাকরণ ও ভাষার শুদ্ধতা বজায় রাখা জরুরি। পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণে সাবলীল ভাষা ও স্পষ্টতা অপরিহার্য।


পাঠকদের আগ্রহের বিষয়

পাঠকদের আগ্রহের বিষয় নির্ধারণে তাদের পছন্দ ও চাহিদা বিবেচনা করা জরুরি। পাঠকদের কিসে আগ্রহ বেশি তা বুঝতে তাদের মতামত সংগ্রহ করা যেতে পারে। যেমন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্টের কমেন্ট বিশ্লেষণ করে পাঠকদের আগ্রহের বিষয় জানা সম্ভব।


বর্তমান আলোচিত বিষয়

বর্তমান আলোচিত বিষয় সম্পর্কে জানা একটি সফল আর্টিকেল লেখার জন্য অপরিহার্য। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বিষয়গুলো এখন আলোচনার শীর্ষে রয়েছে সেগুলো নিয়ে লেখা পাঠকদের আকৃষ্ট করতে পারে। গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করে বর্তমান আলোচিত বিষয় সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যেতে পারে।


গঠনমূলক পরিকল্পনা

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে গঠনমূলক পরিকল্পনা অপরিহার্য। সঠিক শিরোনাম নির্বাচন ও ধারাবাহিক প্যারাগ্রাফ ব্যবহার করে পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখা যায়। সহজ ভাষায় তথ্য সরবরাহ করলে পাঠকরা বেশি আগ্রহী হবে। আপনার লেখার মধ্যে এমন কিছু রাখতে হবে যেটি পড়লে পাঠকের পড়ার আগ্রহ হারাবে না বরং বৃদ্ধি পাবে।


লেখার উদ্দেশ্য নির্ধারণ

প্রথমে আপনাকে জানতে হবে, আপনি কেন বা কি উদ্দেশ্যে লিখছেন। উদ্দেশ্য নির্ধারণ করলে আপনার লেখার পথ পরিষ্কার হবে। আপনি কি পাঠকদের শিক্ষিত করতে চান, নাকি তাদের বিনোদন দিতে চান? উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি শিক্ষামূলক আর্টিকেল লিখতে চান, তাহলে তথ্যের সঠিকতা ও গভীরতা নিশ্চিত করুন। তবে আপনি যদি বিনোদনমূলক আর্টিকেল লিখতে চান, তাহলে ভাষায় কল্পনা এবং রসবোধ যোগ করুন। এই উদ্দেশ্য নির্ধারণ আপনাকে একটি পরিষ্কার দিকনির্দেশনা দিবে এবং লেখার সময় আপনাকে গাইড করবে।


বিষয়বস্তুর কাঠামো

বিষয়বস্তুর কাঠামো তৈরি করা লেখার প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। প্রথমে আপনার লেখার প্রধান পয়েন্টগুলি চিহ্নিত করুন। আপনি কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন? তারপর এগুলোকে একটি সুশৃঙ্খল কাঠামোতে সাজান। এটি পাঠকদের জন্য পড়া সহজ করবে এবং আপনার বক্তব্য পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে সাহায্য করবে। কোন একটি গল্প বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা যোগ করলে লেখাটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। আপনার কী মনে হয়, কোন বিষয়টি আপনার পাঠকদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করবে? এই ধরনের প্রশ্ন আপনাকে এবং আপনার পাঠকদের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করবে। লেখার শুরুতে এবং শেষে আপনার প্রধান পয়েন্টগুলিকে তুলে ধরুন, যাতে পাঠকরা আপনার লেখার মূল ভাবনা ধারণ করতে পারেন।


ভাষার সহজবোধ্যতা ও প্রাঞ্জলতা

আর্টিকেল লেখার সময় ভাষার সহজবোধ্যতা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা ভাষায় প্রাঞ্জলতা বজায় রাখা প্রয়োজন। এটি পাঠকদের জন্য সহজে পাঠযোগ্য করে তোলে। সহজ ভাষায় লেখা পাঠককে দ্রুত আকৃষ্ট করে। প্রাঞ্জল ভাষা ভাবনা প্রকাশে সহায়ক।

বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম


সহজ ও সরল বাক্য

পাঠক সবসময় দ্রুত পড়তে চাইবে, তাই সহজ ও সরল বাক্য লেখার চেষ্টা করুন। এটি পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখে। জটিল বাক্য পাঠককে বিভ্রান্ত করে। আর্টিকেল পড়তে গিয়ে পাঠক যদি কোথাও আটকে যায় বা পড়ার মধ্যে জড়তা আসে তাহলে সে আপনার লেখাটি এড়িয়ে যাবে তাই লেখার মধ্যে সহজ শব্দ ব্যবহার করুন। তাহলে পাঠক আর্টিকেলটি সহজে বুঝতে পারবেন এবং পড়ার আগ্রহ হারাবে না। আপনার লেখার গতিও দ্রুত হবে।


বাক্যের সম্পূর্ণতা

সম্পূর্ণ বাক্য লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনি কোনো একটি বিষয় বর্ণনা করতে গিয়ে সে বিষয় শেষ না করেই অন্য একটি বিষয়ে চলে গেলেন, এক্ষেত্রে পাঠক তার প্রয়োজনীয় তথ্য পেলো না, বাক্যটিও অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। অসম্পূর্ণ বাক্য পাঠককে বিভ্রান্ত করে, সম্পূর্ণ বাক্য তথ্য স্পষ্ট করে। পাঠক যেন সহজেই মূল ভাবনা বুঝতে পারে এবং তার প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারে তাই যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করুন এবং সম্পূর্ণ বাক্য ব্যবহার করুন।


উপযুক্ত শব্দের ব্যবহার বা প্রাসঙ্গিক শব্দ নির্বাচন

আর্টিকেল লিখার সময় বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম অনুসারে উপযুক্ত শব্দের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিষ্কার ও স্পষ্ট ভাষায় লেখা পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখতে সাহায্য করে। শব্দের সঠিক প্রয়োগ ও প্রাসঙ্গিক শব্দের ব্যবহার পাঠককে বিষয়বস্তুর গভীরে প্রবেশ করতে সহায়তা করে।


শব্দের বৈচিত্র্য

শব্দের বৈচিত্র্য একটি আর্টিকেলকে প্রাণবন্ত করে তোলে। একই শব্দ বারবার ব্যবহার না করে সমার্থক শব্দ ব্যবহার করুন। বিভিন্ন রকম শব্দ ব্যবহার করলে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। যখন আমি লেখার সময় শব্দের বৈচিত্র্য আনি, তখন পাঠকের প্রতিক্রিয়া অনেক ইতিবাচক হয়। আপনি কি কখনো ভেবেছেন, কেন কিছু লেখা আপনাকে আকর্ষণ করে আর কিছু লেখা একঘেয়ে লাগে? এর কারণ হলো শব্দের বৈচিত্র্য। সবসময় চেষ্টা করুন নতুন কিছু নিয়ে আসতে। আপনার পাঠককে নতুন কিছু শেখান, নতুন কিছু ভাবতে উৎসাহিত করুন। আপনার লেখায় শব্দের বৈচিত্র্য আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের শব্দের তালিকা তৈরি করতে পারেন। এটা আপনার লেখার মান বাড়াবে।


রচনা শৈলীর বৈচিত্র্য

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম জানতে হলে রচনা শৈলীর বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি রচনায় ভাষার সৌন্দর্য ও ভাবের গভীরতা থাকতে হয়। লেখার শৈলী যেন পাঠককে আকর্ষণ করে এবং বিষয়বস্তু সহজে বুঝতে সাহায্য করে।


বর্ণনা ও বিশ্লেষণ

বর্ণনা হলো কোন কিছু সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা। যেমন- কী, কেমন, কোথায়, কিভাবে ঘটেছে তা বোঝানো। আর বিশ্লেষণ হলো সেই ঘটনার কারণ, প্রভাব, তাৎপর্য ইত্যাদি গভীরভাবে ব্যাখ্যা করা।বর্ণনা পাঠককে তথ্য দেয়, বিশ্লেষণ পাঠককে বুঝতে সাহায্য করে কেন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিষয় লিখলে, কেবল তথ্য দিয়ে থেমে যাবেন না তার পেছনের কারণ বা প্রভাব বিশ্লেষণ করুন।

আমার লেখা পড়ে পাঠকের মাথায় কি কি প্রশ্ন জাগতে পারে তা খুঁজে বের করুন এবং সেই প্রশ্নের উত্তর আপনার লেখার মধ্যেই রাখুন। যাতে পাঠক আগ্রহ সহকারে আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ে।


রসাত্মক উপস্থাপন

আপনার লেখায় রসাত্মক উপস্থাপন যোগ করলে তা পাঠকের জন্য আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে। কিছু হাস্যকর ঘটনা বা চমকপ্রদ তথ্য যোগ করে আপনার লেখাকে প্রাণবন্ত করুন। যখন আপনি আপনার জীবনের মজার কোনো গল্প শেয়ার করেন, তখন পাঠক সেটির সাথে সহজে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। আপনি কি জানেন, আপনি যখন আপনার লেখায় একটি ছোট্ট হাস্যকর ঘটনা যোগ করেন, তখন পাঠক সেটি মনে রাখতে পারে? তবে প্রশ্ন হলো, আপনার লেখায় রসাত্মক উপাদান যোগ করার সঠিক পদ্ধতি কী? আপনার অভিজ্ঞতা বা চিন্তার সাথে সম্পর্কিত ছোট ছোট রসাত্মক মুহূর্ত যোগ করুন। এটি আপনার লেখাকে প্রাণবন্ত এবং স্মরণীয় করে তুলবে। যে কোনো লেখায় বৈচিত্র্য আনতে হলে আপনাকে বিভিন্ন শৈলী এবং উপাদান ব্যবহার করতে হবে। আপনি কি আপনার লেখায় বৈচিত্র্য আনার জন্য প্রস্তুত? আপনার পাঠকরা একঘেয়ে লেখা পড়তে চায় না। তাদের জন্য কিছু নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করুন।


সম্পাদনা ও পরিমার্জন

বাংলা আর্টিকেল লিখার সময় সম্পাদনা ও পরিমার্জন অপরিহার্য। পরিষ্কার ও পাঠযোগ্য লেখা নিশ্চিত করতে বানান, ব্যাকরণ ও বাক্য গঠন ঠিক রাখা জরুরি। সঠিক শব্দ নির্বাচন লেখার মান উন্নত করে।

বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম


বাক্য ও প্যারাগ্রাফ সংশোধন

একটি লেখার প্রতিটি বাক্য এবং অনুচ্ছেদকে অর্থবোধক, সংবদ্ধ ও পাঠযোগ্য করে তোলাই হলো প্যারাগ্রাফ সংশোধনের কাজ।অগোছালো বাক্য পাঠকের কাছে বিভ্রান্তিকর হতে পারে, লেখাকে  পাঠকের কাছে উপস্থাপন করার জন্য গুছিয়ে প্যারাগ্রাফ আকারে লিখতে হবে। একই প্যারাতে অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে বললে তা বোঝা কঠিন হয়। তাই একটি প্যারাতে একটি বিষয় সংক্ষিপ্ত আকারে বিশ্লেষণ করতে হবে যদি তা দীর্ঘ করার প্রয়োজন হয় তাহলে ৫-৬ লাইনের ছোট ছোট প্যারাতে ভাগ করে লিখতে হবে।


ভুল ব্যাকরণ ও বানান শুদ্ধিকরণ

বাংলা ভাষার সঠিক নিয়ম অনুযায়ী বাক্য রচনা এবং বানান লেখাকে ব্যাকরণ ও বানান শুদ্ধি বলা হয়। ভুল ব্যাকরণে লেখা হলে লেখার অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়, এতে পাঠক বিভ্রান্ত হতে পারেন। ভুল বানান লেখার পেশাগত মান ক্ষুণ্ণ করে, পাঠ্যবিষয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যায়। আপনি যদি কোনো বিষয় উপস্থাপন করতে গিয়ে ভুলভাল বানান লিখেন, তাহলে পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে "আলোচিত বিষয়ে আপনার সঠিক জ্ঞান আছে কি?" এতে আপনার লেখার প্রতি পাঠকের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে যাবে।


উপসংহারঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লিখতে কিছু নিয়ম মানা জরুরি। সহজ ভাষা ব্যবহার করা উচিত। পাঠক যেন সহজে বুঝতে পারে। বিষয়বস্তু হতে হবে আকর্ষণীয়। গঠন হতে হবে সুসংগঠিত। প্রতিটি বাক্য সংক্ষিপ্ত রাখুন। শব্দের পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলুন। শব্দচয়ন হতে হবে প্রাসঙ্গিক। পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে গল্প বলুন। উপযুক্ত উদাহরণ দিন। নির্ভুল বানান ও ব্যাকরণ নিশ্চিত করুন। নিয়মিত অনুশীলন করুন। আর্টিকেল লেখার দক্ষতা বাড়বে। বিষয়বস্তুর গভীরতা বাড়াতে গবেষণা করুন। পাঠকের প্রয়োজন মেটাতে সচেষ্ট থাকুন। লেখাটি প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী করে তুলুন। পাঠক যেন উপকৃত হয়। এই নিয়মগুলো মেনে চললে সফল আর্টিকেল তৈরি সম্ভব। লেখার মান উন্নত হবে। পাঠকপ্রিয়তা বাড়বে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অন্যভিউ ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url